Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

ইউনিয়ন ভুমি তথ্যসেবা

ভূমি বিষয়ক তথ্য

ভূমি বিষয়ক প্রয়োজনীয় তথ্যাবলী

খতিয়ান কী ?

মৌজা ভিত্তিক এক বা একাদিক ভূমি মালিকের ভূ-সম্পত্তির বিবরন সহ যে ভূমি রেকর্ড জরিপকালে প্রস্তুত করা হয় তাকে খতিয়ান বলে।


সি,এস রেকর্ড কী ?

সি,এস হল ক্যাডাস্টাল সার্ভে। আমাদের দেশে জেলা ভিত্তিক প্রথম যে নক্সা ও ভূমি রেকর্ড প্রস্তুত করা হয় তাকে সি,এস রেকর্ড বলা হয়।


এস,এ খতিয়ান কী ?

সরকার কর্তৃক ১৯৫০ সনে জমিদারি অধিগ্রহন ও প্রজাস্বত্ব আইন জারি করার পর যে খতিয়ান প্রস্তুত করা হয় তাকে এস,এ খতিয়ান বলা হয়।  


নামজারী কী ?

উত্তরাধিকার বা ক্রয় সূত্রে বা অন্য কোন প্রক্রিয়ায় কোন জমিতে কেউ নতুন মালিক হলে  তার নাম খতিয়ানভূক্ত করার প্রক্রিয়াকে নামজারী বলে।


জমা খারিজ কী ?

জমা খারিজ অর্থ যৌথ জমা বিভক্ত করে আলাদা করে নতুন খতিয়ান সৃষ্টি করা। প্রজার কোন জোতের কোন জমি হস্তান্তর বা বন্টনের কারনে মূল খতিয়ান থেকে কিছু জমি নিয়ে নুতন জোত বা খতিয়ান খোলাকে জমা খারিজ বলা হয়।


পর্চা কী ?

ভূমি জরিপকালে প্রস্তুতকৃত খসরা খতিয়ান যে অনুলিপি তসদিক বা সত্যায়নের পূর্বে ভূমি মালিকের নিকট বিলি করা হয় তাকে মাঠ পর্চা বলে। রাজস্ব অফিসার কর্তৃক পর্চা সত্যায়িত বা তসদিক হওয়ার পর আপত্তি এবং আপিল শোনানির শেষে খতিয়ান চুরান্তভাবে প্রকাশিত হওয়ার পর ইহার অনুলিপিকে পর্চা বলা হয়।


তফসিল কী ?

তফসিল অর্থ জমির পরিচিতিমূলক বিস্তারিত বিবরন। কোন জমির পরিচয় প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট মৌজার নাম, খতিয়ান নং, দাগ নং, জমির চৌহদ্দি, জমির পরিমান ইত্যাদি তথ্য সমৃদ্ধ বিবরনকে তফসিল বলে।


মৌজা কী ?

ক্যাডষ্টাল জরিপের সময় প্রতি থানা এলাকাকে অনোকগুলো এককে বিভক্ত করে প্রত্যেকটি একক এর ক্রমিক নং দিয়ে চিহ্নিত করে জরিপ করা হয়েছে। থানা এলাকার এরুপ প্রত্যেকটি একককে মৌজা বলে। এক বা একাদিক গ্রাম বা পাড়া নিয়ে একটি মৌজা ঘঠিত হয়।


খাজনা কী ?

ভূমি ব্যবহারের জন্য প্রজার নিকট থেকে সরকার বার্ষিক ভিত্তিতে যে ভুমি কর আদায় করে তাকে ভুমির খাজনা বলা হয়।


ওয়াকফ কী ?

ইসলামি বিধান মোতাবেক মুসলিম ভূমি মালিক কর্তৃক ধর্মীয় ও সমাজ কল্যানমুলক প্রতিষ্ঠানের ব্যায় ভার বহন করার উদ্দেশ্যে কোন সম্পত্তি দান করাকে ওয়াকফ বলে।


মোতওয়াল্লী কী ?

ওয়াকফ সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা ও তত্ত্বাবধান যিনি করেন তাকে মোতওয়াল্লী বলে।মোতওয়াল্লী ওয়াকফ প্রশাষকের অনুমতি ব্যতিত ওয়াকফ সম্পত্তি হস্তান্তর করতে পারেন না।


ওয়রিশ কী ?

ওয়ারিশ অর্থ ধর্মীয় বিধানের আওতায় উত্তরাধিকারী। কোন ব্যক্তি উইল না করে মৃত্যু বরন করলে আইনের বিধান অনুযায়ী তার স্ত্রী, সন্তান বা নিকট আত্নীয়দের মধ্যে যারা তার রেখে যাওয়া সম্পত্তিতে মালিক হন এমন ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গকে ওয়ারিশ বলা হয়।


ফারায়েজ কী ?

ইসলামি বিধান মোতাবেক মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি বন্টন করার নিয়ম ও প্রক্রিয়াকে ফারায়েজ বলে।


খাস জমি কী ?

ভূমি মন্ত্রনালয়ের আওতাধিন যে জমি সরকারের পক্ষে কালেক্টর তত্ত্বাবধান করেন এমন জমিকে খাস জমি বলে।


কবুলিয়ত কী ?

সরকার কর্তৃক কৃষককে জমি বন্দোবস্ত দেওয়ার প্রস্তাব প্রজা কর্তৃক গ্রহন করে খাজনা প্রদানের যে অংঙ্গিকার পত্র দেওয়া হয় তাকে কবুলিয়ত বলে।


দাগ নং কী ?

মৌজায় প্রত্যেক ভূমি মালিকের জমি আলাদাভাবে বা জমির শ্রেনী ভিত্তিক প্রত্যেকটি ভূমি খন্ডকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করার লক্ষ্যে সিমানা খুটি বা আইল দিয়ে স্বরজমিনে আলাদাভাবে প্রদর্শন করা হয়। মৌজা নক্সায় প্রত্যেকটি ভূমি খন্ডকে ক্রমিক নম্বর দিয়ে জমি চিহ্নিত বা সনাক্ত করার লক্ষ্যে প্রদত্ত্ব নাম্বারকে দাগ নাম্বার বলে।


ছুট দাগ কী ?

ভূমি জরিপের প্রাথমিক পর্যায়ে নক্সা প্রস্তুত বা সংশোধনের সময় নক্সার প্রত্যেকটি ভূ-খন্ডের ক্রমিক নাম্বার দেওয়ার সময় যে ক্রমিক নাম্বার ভূলক্রমে বাদ পরে যায় অথবা প্রাথমিক পর্যায়ের পরে দুটি ভূমি খন্ড একত্রিত হওয়ার কারনে যে ক্রমিক নাম্বার বাদ দিতে হয় তাকে ছুট দাগ বলা হয়।


চান্দিনা ভিটি কী ?

হাট বাজারের স্থায়ী বা অস্থায়ী দোকান অংশের অকৃষি প্রজা স্বত্ত্য এলাকাকে চান্দিনা ভিটি বলা হয়।


অগ্রক্রয়াধিকার কী ?

অগ্রক্রয়াধিকার অর্থ সম্পত্ত্বি ক্রয় করার ক্ষেত্রে আইনানুগভাবে অন্যান্য ক্রেতার তুলনায় অগ্রাধিকার প্রাপ্যতার বিধান। কোন কৃষি জমির মালিক বা অংশিদার কোন আগন্তুকের নিকট তার অংশ বা জমি বিক্রির মাধ্যমে হস্তান্তর করলে অন্য অংশিদার কর্তৃক দলিলে বর্নিত মূল্য সহ অতিরিক্ত ১০% অর্থ বিক্রি বা অবহিত হওয়ার ৪ মাসের মধ্যে আদালতে জমা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে জমি ক্রয় করার আইনানুগ অধিকারকে অগ্রক্রয়াধিকার বলা হয়।


আমিন কী ?

ভূমি জরিপের মধ্যমে নক্সা ও খতিয়ান প্রস্তুত ও ভূমি জরিপ কাজে নিজুক্ত কর্মচারীকে আমিন বলা হত।


সিকস্তি কী ?

নদী ভাংঙ্গনে জমি পানিতে বিলিন হয়ে যাওয়াকে সিকস্তি বলা হয়। সিকস্তি জমি ৩০ বছরের মধ্যে স্বস্থানে পয়স্তি হলে সিকস্তি হওয়ার প্রাককালে যিনি ভূমি মালিক ছিলেন, তিনি বা তাহার উত্তরাধিকারগন উক্ত জমির মালিকানা শর্ত সাপেক্ষ্যে প্রাপ্য হবেন।


পয়স্তি কী ?

নদী গর্ভ থেকে পলি মাটির চর পড়ে জমির সৃষ্টি হওয়াকে পয়স্তি বলা হয়।


নাল জমি কী ?

সমতল ২ বা ৩ ফসলি আবাদি জমিকে নাল জমি বলা হয়।


দেবোত্তর সম্পত্তি কী ?

হিন্দুদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদির আয়োজন, ব্যাবস্থাপনা ও সু-সম্পন্ন করার ব্যয় ভার নির্বাহের লক্ষ্যে উৎসর্গকৃত ভূমিকে দেবোত্তর সম্পত্তি সম্পত্তি বলা হয়।

 
দাখিলা কী ?

ভূমি মালিকের নিকট হতে ভূমি কর আদায় করে যে নির্দিষ্ট ফরমে (ফরম নং-১০৭৭) ভূমিকর আদায়ের প্রমানপত্র বা রশিদ দেওয়া হয় তাকে দাখিলা বলে।


ডি,সি,আর কী ?

ভূমি কর ব্যতিত অন্যান্য সরকারি পাওনা আদায় করার পর যে নির্ধারিত ফরমে (ফরম নং-২২২) রশিদ দেওয়া হয় তাকে ডি,সি,আর বলে।


দলিল কী ?

যে কোন লিখিত বিবরনি যা ভবিষ্যতে আদালতে স্বাক্ষ্য হিসেবে গ্রহনযোগ্য তাকে দলিল বলা হয়। তবে রেজিষ্ট্রেশন আইনের বিধান মোতাবেক জমি ক্রেতা এবং বিক্রেতা সম্পত্তি হস্তান্তর করার জন্য যে চুক্তিপত্র সম্পাদন ও রেজিষ্ট্রি করেন তাকে সাধারনভাবে দলিল বলে।


কিস্তোয়ার কী ?

ভূমি জরিপকালে চতুর্ভূজ ও মোরব্বা প্রস্তুত করারপর  সিকমি লাইনে চেইন চালিয়ে সঠিকভাবে খন্ড খন্ড ভূমির বাস্তব ভৌগলিক চিত্র অঙ্কনের মাধ্যমে নক্সা প্রস্তুতের পদ্ধতিকে কিস্তোয়ার বলে।


খানাপুরি কী ?

জরিপের সময় মৌজা নক্সা প্রস্তুত করার পর খতিয়ান প্রস্তুতকালে খতিয়ান ফর্মের প্রত্যেকটি কলাম জরিপ কর্মচারী কর্তৃক পূরণ করার প্রক্রিয়াকে খানাপুরি বলে।

 

 

ভূমি উন্নয়ন কর ও নামজারী তথ্য

নামজারী এবংভূমি উন্নয়ন কর সম্পর্কিত তথ্য

 নামজারী বা মিউটেশন:

আইনগতভাবে স্বীকৃত কারণে জমির মালিকনা পরিবর্তন ঘটলে যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নতুন মালিকগণের মালিকানা পরিবর্তিত জমির পরিমাণবা অংশ, দাগ নম্বর ইত্যাদি বিষয় খতিয়ানে প্রতিফলনের মাধ্যমে রেকর্ড সংশোধন করা হয় তাকে নামজারী,জমিভাগ,জমি একত্রিকরণ, খারিজ বলে।

নিজ নিজএলাকার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর আবেদন করে নামজারী/মিউটেশনকরতে হয়।

 

নামজারী করার ক্ষেত্রে কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজনীয়?

Ø পাসপোর্ট সাইজের ০১ কপি সত্যায়িত ছবি;

Ø এস.এ খতিয়ান এর ফটোকপি/ সার্টিফাইট কপি;

Ø আর.এস খতিয়ান/ মাঠ জরিপের পর্চা এর ফটোকপি/ সার্টিফাইট কপি;

Ø খারিজ খতিয়ানের ফটোকপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে);

Ø ওয়ারিশ সনদপত্র(অনধিক তিন মাসের মধ্যে ইস্যুকৃত);

Ø মূল দলিলের ফটোকপি/ সার্টিফাইট কপি;

Ø বায়া/ পিট দলিলের ফটোকপি/ সার্টিফাইট কপি;

Ø ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের দাখিলা(অবশ্যই দাখিল করতে হবে);

Ø তফসিলে বর্ণিত চৌহদ্দি কলমী নক্সা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে);

Ø প্রযোজ্য ক্ষেত্রে আদালতের রায়/ আদেশ/ ডিক্রীর ফটোকপি/ সার্টিফাইট কপি;

Ø ডিসিআর ব্যতিত কোন খারিজ খতিয়ান সরবরাহ করা হবেনা

              

কী প্রক্রিয়ায় নতুন মালিকের নামজারী সম্পাদিত হয়?

Ø সহকারী কমিশনার (ভূমি)বরাবর সরকার নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হয়;

Ø আবেদনপত্রের সাথে প্রয়োজনীয় কোর্ট ফি  এবং অন্যান্য ফি জমা দিতে হয়;

Ø আবেদনপত্র জমাদানের সময় মামলা নং এবং কবে মামলা নিষ্পত্তি হবে তা সংগ্রহ করতে হয়;

Ø তহসিল অফিস কর্তৃক মামলা নথির তদন্ত গ্রহণ এবং নামজারী প্রস্তাব প্রস্তুত করা হয়;

Ø ক্ষেত্র বিশেষে সেটেলমেন্ট অফিসেডকুমেন্ট পাঠানো হয় এবংমতামতগ্রহণ করা হয়;

Ø শুনানির জন্য তারিখ নির্ধারণ এবং আবেদনকারীকে নোটিশ প্রদান/ তবে না অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব প্রদান করা হলেও সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে নোটিশ প্রদান করা হয়;

Ø সহকারি কমিশনার(ভূমি) এরউপস্থিতিতে শুনানি গ্রহণ এবং রায় ঘোষণা করা হয় অথবা রায় ঘোষনার তারিখ প্রদান করা হয়;

Ø মামলার রায় নামজারী রেজিস্ট্রারে লিপিবদ্ধ করা হয়;

Ø ইউনিয়ন ভূমি অফিসের রেকর্ড সংশোধন করার জন্য রায়ের কপি পাঠানো হয়;

Ø উপজেলা ভূমি অফিসেররেকর্ড বা খতিয়ান সংশোধন এবং সেটেলমেন্ট অফিসের পর্চাসংশোধনের জন্য কপি পাঠানো হয়;

Ø উপজেলা ভূমি অফিসে নামজারী মামলার কেস বা নথি ১২ বছর পর্যন্তসংরক্ষণ করা হয়;

           

নামজারী/মিউটেশন ফি কত টাকা?

খাত

ফি (টাকা)

(১) নামজারী/জমি ভাগ ফি (খতিয়ান প্রতি)

নোটিশ ফি: ২ টাকা(অনধিক ৪ জনের জন্য), ৪ এর অধিক প্রতি জনের জন্য আরো ০.৫০ টাকা হিসাবে আদায় করতে হবে।

(২) আবেদন বাবদ কোর্ট ফি

৫ টাকা

(৩) রেকর্ড সংশোধন ও পর্চা ফি বাবদ

২০০ টাকা

(৪) প্রতি কপি মিউটেশন খতিয়ান ফি

২৫.০০+১৮.০০টাকা

 সর্বমোট

২৫০টাকা

বিঃ দ্রঃ এখানে উল্লেখ্য যে, আবেদন বাবদ ৫.০০ টাকা কোর্ট ফি এর মাধ্যমে এবং অবশিষ্ট এফ.ডি.সি.আর এর মাধ্যমে জমা দেয়া যেতে পারে।  মিউটেশন করার সাথে সাথে একটি খতিয়ানের অনুলিপিঅফিস থেকে দেয়া হয়, যাকে মিউটেশন বা খারিজ পর্চা বলে। নামজারি বাবদ উপরোক্ত খরচ ছাড়া অন্য কোন টাকা দেওয়া বা নেওয়া সম্পূর্ণ বেআইনী ও অবৈধ।  

 

কত দিনের মধ্যে নামজারী/ মিউটেশন সম্পাদন হয়?

সিটিজেন চার্টার অনুসারে ৪৫(পঁয়তাল্লিশ) কর্ম দিবসেরমধ্যে নামজারী সম্পাদন করা হবে যদি মালিকানার বিষয় নিয়ে কোন বিতর্ক না থাকে এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আবেদনের সাথে জমা দেয়া হয়।

 

খতিয়ানের জাবেদা নকল/ সার্টিফাইড কপির জন্য ফি:

ফিসের বিষয়

সাধারণ

জরুরী

(১) প্রতি খতিয়ানে জাবেদা নকলের জন্য কোর্ট ফি  (ফোলিওপ্রতি)

২.০০ টাকা

-

(২) সাধারণ কোর্ট ফি:

১১টাকা

১৬ টাকা

 

ভূমি উন্নয়ন কর/ খাজনা:

সাধারণত যার নামে জমির রেকর্ড সেই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ভূমি উন্নয়ন কর দিতে হয়। যে এলাকায় জমির অবস্থান সেই এলাকার ইউনিয়ন ভূমি অফিসে (তহসিল অফিস) ভূমি উন্নয়ন কর দিতে হয়।

 

কৃষি জমির ভূমি উন্নয়ন কর:

০.০১ থেকে  ৮.২৫ একর পর্যন্ত

২৫ বিঘা পর্যন্ত কৃষি জমির খাজনা মওকুফ তবে মালিকানা স্বত্ত্বপ্রমাণের  জন্য খতিয়ান প্রতি ২.০০ টাকা দিয়ে দাখিলা নিতে হবেএবং অন্যান্য জমির ক্ষেত্রে খাজনা প্রযোজ্য।

৮.২৫ একরের উর্ধ্বে হইতে ১০ একর পর্যন্ত

প্রতি শতাংশ ০.৫০ টাকা হারে

১০ একরের উর্ধ্বে

প্রতি শতাংশ ১.০০ টাকা হারে

 

অকৃষি জমির ভূমি উন্নয়ন কর:                                                                                                                    

এলাকা

শিল্প/বাণিজ্যিক ব্যবহৃত জমি (প্রতি শতাংশ)

আবাসিক বা অন্য কাজে ব্যবহৃত জমি (প্রতি শতাংশ)

(ক)দিনাজপুরজেলা সদরের পৌর এলাকা

২২.০০ (বাইশ)টাকা

৭.০০ (সাত) টাকা

(খ)জেলা সদর ব্যতীত অন্য পৌর এলাকা

১৫.০০(পনের) টাকা

৫.০০(পাঁচ) টাকা

(গ) পৌর এলাকা ঘোষিত হয় নাই এরুপ এলাকা

১৫.০০ (পনের) টাকা

৫.০০ (পাঁচ) টাকা

 

কেন ভূমি উন্নয়ন কর সময়মত পরিশোধ করবেন?

ভূমি উন্নয়ন কর প্রতি বছর পরিশোধ করতেহয়। পর পর দুই বছর ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ না করলেজমির মালিকের বিরুদ্ধে (পি.ডি.আর এ্যাক্টের আওতায়) সার্টিফিকেট কেস হবে। এই কেসে হারলে অর্থাৎ ভূমি উন্নয়ন কর না দিতে পারলে জমির অধিকার হারাবেন। ভূমি উন্নয়ন কর বাকী পড়লে জমি নিলামে তোলা হয়।

 

তথ্য/ সেবা না পেলে কার কাছে অভিযোগ করবেন?

ইউনিয়ন ভূমি অফিসে এবং সহকারী কমিশনার ভূমি অফিসে তথ্য/সেবা পেতে হয়রানির শিকার হলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) কেলিখিতভাবে জানাবেন/ অভিযোগ করবেন।

 

 

ভূমি বিষয়ক তথ্য

ভূমি বিষয়ক প্রয়োজনীয় তথ্যাবলী

খতিয়ান কী ?

মৌজা ভিত্তিক এক বা একাদিক ভূমি মালিকের ভূ-সম্পত্তির বিবরন সহ যে ভূমি রেকর্ড জরিপকালে প্রস্তুত করা হয় তাকে খতিয়ান বলে।


সি,এস রেকর্ড কী ?

সি,এস হল ক্যাডাস্টাল সার্ভে। আমাদের দেশে জেলা ভিত্তিক প্রথম যে নক্সা ও ভূমি রেকর্ড প্রস্তুত করা হয় তাকে সি,এস রেকর্ড বলা হয়।


এস,এ খতিয়ান কী ?

সরকার কর্তৃক ১৯৫০ সনে জমিদারি অধিগ্রহন ও প্রজাস্বত্ব আইন জারি করার পর যে খতিয়ান প্রস্তুত করা হয় তাকে এস,এ খতিয়ান বলা হয়।  


নামজারী কী ?

উত্তরাধিকার বা ক্রয় সূত্রে বা অন্য কোন প্রক্রিয়ায় কোন জমিতে কেউ নতুন মালিক হলে  তার নাম খতিয়ানভূক্ত করার প্রক্রিয়াকে নামজারী বলে।


জমা খারিজ কী ?

জমা খারিজ অর্থ যৌথ জমা বিভক্ত করে আলাদা করে নতুন খতিয়ান সৃষ্টি করা। প্রজার কোন জোতের কোন জমি হস্তান্তর বা বন্টনের কারনে মূল খতিয়ান থেকে কিছু জমি নিয়ে নুতন জোত বা খতিয়ান খোলাকে জমা খারিজ বলা হয়।


পর্চা কী ?

ভূমি জরিপকালে প্রস্তুতকৃত খসরা খতিয়ান যে অনুলিপি তসদিক বা সত্যায়নের পূর্বে ভূমি মালিকের নিকট বিলি করা হয় তাকে মাঠ পর্চা বলে। রাজস্ব অফিসার কর্তৃক পর্চা সত্যায়িত বা তসদিক হওয়ার পর আপত্তি এবং আপিল শোনানির শেষে খতিয়ান চুরান্তভাবে প্রকাশিত হওয়ার পর ইহার অনুলিপিকে পর্চা বলা হয়।


তফসিল কী ?

তফসিল অর্থ জমির পরিচিতিমূলক বিস্তারিত বিবরন। কোন জমির পরিচয় প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট মৌজার নাম, খতিয়ান নং, দাগ নং, জমির চৌহদ্দি, জমির পরিমান ইত্যাদি তথ্য সমৃদ্ধ বিবরনকে তফসিল বলে।


মৌজা কী ?

ক্যাডষ্টাল জরিপের সময় প্রতি থানা এলাকাকে অনোকগুলো এককে বিভক্ত করে প্রত্যেকটি একক এর ক্রমিক নং দিয়ে চিহ্নিত করে জরিপ করা হয়েছে। থানা এলাকার এরুপ প্রত্যেকটি একককে মৌজা বলে। এক বা একাদিক গ্রাম বা পাড়া নিয়ে একটি মৌজা ঘঠিত হয়।


খাজনা কী ?

ভূমি ব্যবহারের জন্য প্রজার নিকট থেকে সরকার বার্ষিক ভিত্তিতে যে ভুমি কর আদায় করে তাকে ভুমির খাজনা বলা হয়।


ওয়াকফ কী ?

ইসলামি বিধান মোতাবেক মুসলিম ভূমি মালিক কর্তৃক ধর্মীয় ও সমাজ কল্যানমুলক প্রতিষ্ঠানের ব্যায় ভার বহন করার উদ্দেশ্যে কোন সম্পত্তি দান করাকে ওয়াকফ বলে।


মোতওয়াল্লী কী ?

ওয়াকফ সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা ও তত্ত্বাবধান যিনি করেন তাকে মোতওয়াল্লী বলে।মোতওয়াল্লী ওয়াকফ প্রশাষকের অনুমতি ব্যতিত ওয়াকফ সম্পত্তি হস্তান্তর করতে পারেন না।


ওয়রিশ কী ?

ওয়ারিশ অর্থ ধর্মীয় বিধানের আওতায় উত্তরাধিকারী। কোন ব্যক্তি উইল না করে মৃত্যু বরন করলে আইনের বিধান অনুযায়ী তার স্ত্রী, সন্তান বা নিকট আত্নীয়দের মধ্যে যারা তার রেখে যাওয়া সম্পত্তিতে মালিক হন এমন ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গকে ওয়ারিশ বলা হয়।


ফারায়েজ কী ?

ইসলামি বিধান মোতাবেক মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি বন্টন করার নিয়ম ও প্রক্রিয়াকে ফারায়েজ বলে।


খাস জমি কী ?

ভূমি মন্ত্রনালয়ের আওতাধিন যে জমি সরকারের পক্ষে কালেক্টর তত্ত্বাবধান করেন এমন জমিকে খাস জমি বলে।


কবুলিয়ত কী ?

সরকার কর্তৃক কৃষককে জমি বন্দোবস্ত দেওয়ার প্রস্তাব প্রজা কর্তৃক গ্রহন করে খাজনা প্রদানের যে অংঙ্গিকার পত্র দেওয়া হয় তাকে কবুলিয়ত বলে।


দাগ নং কী ?

মৌজায় প্রত্যেক ভূমি মালিকের জমি আলাদাভাবে বা জমির শ্রেনী ভিত্তিক প্রত্যেকটি ভূমি খন্ডকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করার লক্ষ্যে সিমানা খুটি বা আইল দিয়ে স্বরজমিনে আলাদাভাবে প্রদর্শন করা হয়। মৌজা নক্সায় প্রত্যেকটি ভূমি খন্ডকে ক্রমিক নম্বর দিয়ে জমি চিহ্নিত বা সনাক্ত করার লক্ষ্যে প্রদত্ত্ব নাম্বারকে দাগ নাম্বার বলে।


ছুট দাগ কী ?

ভূমি জরিপের প্রাথমিক পর্যায়ে নক্সা প্রস্তুত বা সংশোধনের সময় নক্সার প্রত্যেকটি ভূ-খন্ডের ক্রমিক নাম্বার দেওয়ার সময় যে ক্রমিক নাম্বার ভূলক্রমে বাদ পরে যায় অথবা প্রাথমিক পর্যায়ের পরে দুটি ভূমি খন্ড একত্রিত হওয়ার কারনে যে ক্রমিক নাম্বার বাদ দিতে হয় তাকে ছুট দাগ বলা হয়।


চান্দিনা ভিটি কী ?

হাট বাজারের স্থায়ী বা অস্থায়ী দোকান অংশের অকৃষি প্রজা স্বত্ত্য এলাকাকে চান্দিনা ভিটি বলা হয়।


অগ্রক্রয়াধিকার কী ?

অগ্রক্রয়াধিকার অর্থ সম্পত্ত্বি ক্রয় করার ক্ষেত্রে আইনানুগভাবে অন্যান্য ক্রেতার তুলনায় অগ্রাধিকার প্রাপ্যতার বিধান। কোন কৃষি জমির মালিক বা অংশিদার কোন আগন্তুকের নিকট তার অংশ বা জমি বিক্রির মাধ্যমে হস্তান্তর করলে অন্য অংশিদার কর্তৃক দলিলে বর্নিত মূল্য সহ অতিরিক্ত ১০% অর্থ বিক্রি বা অবহিত হওয়ার ৪ মাসের মধ্যে আদালতে জমা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে জমি ক্রয় করার আইনানুগ অধিকারকে অগ্রক্রয়াধিকার বলা হয়।


আমিন কী ?

ভূমি জরিপের মধ্যমে নক্সা ও খতিয়ান প্রস্তুত ও ভূমি জরিপ কাজে নিজুক্ত কর্মচারীকে আমিন বলা হত।


সিকস্তি কী ?

নদী ভাংঙ্গনে জমি পানিতে বিলিন হয়ে যাওয়াকে সিকস্তি বলা হয়। সিকস্তি জমি ৩০ বছরের মধ্যে স্বস্থানে পয়স্তি হলে সিকস্তি হওয়ার প্রাককালে যিনি ভূমি মালিক ছিলেন, তিনি বা তাহার উত্তরাধিকারগন উক্ত জমির মালিকানা শর্ত সাপেক্ষ্যে প্রাপ্য হবেন।


পয়স্তি কী ?

নদী গর্ভ থেকে পলি মাটির চর পড়ে জমির সৃষ্টি হওয়াকে পয়স্তি বলা হয়।


নাল জমি কী ?

সমতল ২ বা ৩ ফসলি আবাদি জমিকে নাল জমি বলা হয়।


দেবোত্তর সম্পত্তি কী ?

হিন্দুদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদির আয়োজন, ব্যাবস্থাপনা ও সু-সম্পন্ন করার ব্যয় ভার নির্বাহের লক্ষ্যে উৎসর্গকৃত ভূমিকে দেবোত্তর সম্পত্তি সম্পত্তি বলা হয়।

 
দাখিলা কী ?

ভূমি মালিকের নিকট হতে ভূমি কর আদায় করে যে নির্দিষ্ট ফরমে (ফরম নং-১০৭৭) ভূমিকর আদায়ের প্রমানপত্র বা রশিদ দেওয়া হয় তাকে দাখিলা বলে।


ডি,সি,আর কী ?

ভূমি কর ব্যতিত অন্যান্য সরকারি পাওনা আদায় করার পর যে নির্ধারিত ফরমে (ফরম নং-২২২) রশিদ দেওয়া হয় তাকে ডি,সি,আর বলে।


দলিল কী ?

যে কোন লিখিত বিবরনি যা ভবিষ্যতে আদালতে স্বাক্ষ্য হিসেবে গ্রহনযোগ্য তাকে দলিল বলা হয়। তবে রেজিষ্ট্রেশন আইনের বিধান মোতাবেক জমি ক্রেতা এবং বিক্রেতা সম্পত্তি হস্তান্তর করার জন্য যে চুক্তিপত্র সম্পাদন ও রেজিষ্ট্রি করেন তাকে সাধারনভাবে দলিল বলে।


কিস্তোয়ার কী ?

ভূমি জরিপকালে চতুর্ভূজ ও মোরব্বা প্রস্তুত করারপর  সিকমি লাইনে চেইন চালিয়ে সঠিকভাবে খন্ড খন্ড ভূমির বাস্তব ভৌগলিক চিত্র অঙ্কনের মাধ্যমে নক্সা প্রস্তুতের পদ্ধতিকে কিস্তোয়ার বলে।


খানাপুরি কী ?

জরিপের সময় মৌজা নক্সা প্রস্তুত করার পর খতিয়ান প্রস্তুতকালে খতিয়ান ফর্মের প্রত্যেকটি কলাম জরিপ কর্মচারী কর্তৃক পূরণ করার প্রক্রিয়াকে খানাপুরি বলে।

 

 

ভূমি উন্নয়ন কর ও নামজারী তথ্য

নামজারী এবংভূমি উন্নয়ন কর সম্পর্কিত তথ্য

 নামজারী বা মিউটেশন:

আইনগতভাবে স্বীকৃত কারণে জমির মালিকনা পরিবর্তন ঘটলে যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নতুন মালিকগণের মালিকানা পরিবর্তিত জমির পরিমাণবা অংশ, দাগ নম্বর ইত্যাদি বিষয় খতিয়ানে প্রতিফলনের মাধ্যমে রেকর্ড সংশোধন করা হয় তাকে নামজারী,জমিভাগ,জমি একত্রিকরণ, খারিজ বলে।

নিজ নিজএলাকার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর আবেদন করে নামজারী/মিউটেশনকরতে হয়।

 

নামজারী করার ক্ষেত্রে কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজনীয়?

Ø পাসপোর্ট সাইজের ০১ কপি সত্যায়িত ছবি;

Ø এস.এ খতিয়ান এর ফটোকপি/ সার্টিফাইট কপি;

Ø আর.এস খতিয়ান/ মাঠ জরিপের পর্চা এর ফটোকপি/ সার্টিফাইট কপি;

Ø খারিজ খতিয়ানের ফটোকপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে);

Ø ওয়ারিশ সনদপত্র(অনধিক তিন মাসের মধ্যে ইস্যুকৃত);

Ø মূল দলিলের ফটোকপি/ সার্টিফাইট কপি;

Ø বায়া/ পিট দলিলের ফটোকপি/ সার্টিফাইট কপি;

Ø ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের দাখিলা(অবশ্যই দাখিল করতে হবে);

Ø তফসিলে বর্ণিত চৌহদ্দি কলমী নক্সা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে);

Ø প্রযোজ্য ক্ষেত্রে আদালতের রায়/ আদেশ/ ডিক্রীর ফটোকপি/ সার্টিফাইট কপি;

Ø ডিসিআর ব্যতিত কোন খারিজ খতিয়ান সরবরাহ করা হবেনা

              

কী প্রক্রিয়ায় নতুন মালিকের নামজারী সম্পাদিত হয়?

Ø সহকারী কমিশনার (ভূমি)বরাবর সরকার নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হয়;

Ø আবেদনপত্রের সাথে প্রয়োজনীয় কোর্ট ফি  এবং অন্যান্য ফি জমা দিতে হয়;

Ø আবেদনপত্র জমাদানের সময় মামলা নং এবং কবে মামলা নিষ্পত্তি হবে তা সংগ্রহ করতে হয়;

Ø তহসিল অফিস কর্তৃক মামলা নথির তদন্ত গ্রহণ এবং নামজারী প্রস্তাব প্রস্তুত করা হয়;

Ø ক্ষেত্র বিশেষে সেটেলমেন্ট অফিসেডকুমেন্ট পাঠানো হয় এবংমতামতগ্রহণ করা হয়;

Ø শুনানির জন্য তারিখ নির্ধারণ এবং আবেদনকারীকে নোটিশ প্রদান/ তবে না অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব প্রদান করা হলেও সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে নোটিশ প্রদান করা হয়;

Ø সহকারি কমিশনার(ভূমি) এরউপস্থিতিতে শুনানি গ্রহণ এবং রায় ঘোষণা করা হয় অথবা রায় ঘোষনার তারিখ প্রদান করা হয়;

Ø মামলার রায় নামজারী রেজিস্ট্রারে লিপিবদ্ধ করা হয়;

Ø ইউনিয়ন ভূমি অফিসের রেকর্ড সংশোধন করার জন্য রায়ের কপি পাঠানো হয়;

Ø উপজেলা ভূমি অফিসেররেকর্ড বা খতিয়ান সংশোধন এবং সেটেলমেন্ট অফিসের পর্চাসংশোধনের জন্য কপি পাঠানো হয়;

Ø উপজেলা ভূমি অফিসে নামজারী মামলার কেস বা নথি ১২ বছর পর্যন্তসংরক্ষণ করা হয়;

           

নামজারী/মিউটেশন ফি কত টাকা?

খাত

ফি (টাকা)

(১) নামজারী/জমি ভাগ ফি (খতিয়ান প্রতি)

নোটিশ ফি: ২ টাকা(অনধিক ৪ জনের জন্য), ৪ এর অধিক প্রতি জনের জন্য আরো ০.৫০ টাকা হিসাবে আদায় করতে হবে।

(২) আবেদন বাবদ কোর্ট ফি

৫ টাকা

(৩) রেকর্ড সংশোধন ও পর্চা ফি বাবদ

২০০ টাকা

(৪) প্রতি কপি মিউটেশন খতিয়ান ফি

২৫.০০+১৮.০০টাকা

 সর্বমোট

২৫০টাকা

বিঃ দ্রঃ এখানে উল্লেখ্য যে, আবেদন বাবদ ৫.০০ টাকা কোর্ট ফি এর মাধ্যমে এবং অবশিষ্ট এফ.ডি.সি.আর এর মাধ্যমে জমা দেয়া যেতে পারে।  মিউটেশন করার সাথে সাথে একটি খতিয়ানের অনুলিপিঅফিস থেকে দেয়া হয়, যাকে মিউটেশন বা খারিজ পর্চা বলে। নামজারি বাবদ উপরোক্ত খরচ ছাড়া অন্য কোন টাকা দেওয়া বা নেওয়া সম্পূর্ণ বেআইনী ও অবৈধ।  

 

কত দিনের মধ্যে নামজারী/ মিউটেশন সম্পাদন হয়?

সিটিজেন চার্টার অনুসারে ৪৫(পঁয়তাল্লিশ) কর্ম দিবসেরমধ্যে নামজারী সম্পাদন করা হবে যদি মালিকানার বিষয় নিয়ে কোন বিতর্ক না থাকে এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আবেদনের সাথে জমা দেয়া হয়।

 

খতিয়ানের জাবেদা নকল/ সার্টিফাইড কপির জন্য ফি:

ফিসের বিষয়

সাধারণ

জরুরী

(১) প্রতি খতিয়ানে জাবেদা নকলের জন্য কোর্ট ফি  (ফোলিওপ্রতি)

২.০০ টাকা

-

(২) সাধারণ কোর্ট ফি:

১১টাকা

১৬ টাকা

 

ভূমি উন্নয়ন কর/ খাজনা:

সাধারণত যার নামে জমির রেকর্ড সেই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ভূমি উন্নয়ন কর দিতে হয়। যে এলাকায় জমির অবস্থান সেই এলাকার ইউনিয়ন ভূমি অফিসে (তহসিল অফিস) ভূমি উন্নয়ন কর দিতে হয়।

 

কৃষি জমির ভূমি উন্নয়ন কর:

০.০১ থেকে  ৮.২৫ একর পর্যন্ত

২৫ বিঘা পর্যন্ত কৃষি জমির খাজনা মওকুফ তবে মালিকানা স্বত্ত্বপ্রমাণের  জন্য খতিয়ান প্রতি ২.০০ টাকা দিয়ে দাখিলা নিতে হবেএবং অন্যান্য জমির ক্ষেত্রে খাজনা প্রযোজ্য।

৮.২৫ একরের উর্ধ্বে হইতে ১০ একর পর্যন্ত

প্রতি শতাংশ ০.৫০ টাকা হারে

১০ একরের উর্ধ্বে

প্রতি শতাংশ ১.০০ টাকা হারে

 

অকৃষি জমির ভূমি উন্নয়ন কর:                                                                                                                    

এলাকা

শিল্প/বাণিজ্যিক ব্যবহৃত জমি (প্রতি শতাংশ)

আবাসিক বা অন্য কাজে ব্যবহৃত জমি (প্রতি শতাংশ)

(ক)দিনাজপুরজেলা সদরের পৌর এলাকা

২২.০০ (বাইশ)টাকা

৭.০০ (সাত) টাকা

(খ)জেলা সদর ব্যতীত অন্য পৌর এলাকা

১৫.০০(পনের) টাকা

৫.০০(পাঁচ) টাকা

(গ) পৌর এলাকা ঘোষিত হয় নাই এরুপ এলাকা

১৫.০০ (পনের) টাকা

৫.০০ (পাঁচ) টাকা

 

কেন ভূমি উন্নয়ন কর সময়মত পরিশোধ করবেন?

ভূমি উন্নয়ন কর প্রতি বছর পরিশোধ করতেহয়। পর পর দুই বছর ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ না করলেজমির মালিকের বিরুদ্ধে (পি.ডি.আর এ্যাক্টের আওতায়) সার্টিফিকেট কেস হবে। এই কেসে হারলে অর্থাৎ ভূমি উন্নয়ন কর না দিতে পারলে জমির অধিকার হারাবেন। ভূমি উন্নয়ন কর বাকী পড়লে জমি নিলামে তোলা হয়।

 

তথ্য/ সেবা না পেলে কার কাছে অভিযোগ করবেন?

ইউনিয়ন ভূমি অফিসে এবং সহকারী কমিশনার ভূমি অফিসে তথ্য/সেবা পেতে হয়রানির শিকার হলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) কেলিখিতভাবে জানাবেন/ অভিযোগ করবেন।